Tuesday, 2 November 2010
চল্লিশ ডাক দিয়ে যায় (কবিতা)
গভীর রাতে
চল্লিশ ডাক দিয়ে যায়
বলে, অনেক তো ছোটা হলো
খোঁজা হলো গাড়ী, বাড়ী, সুন্দরী নারী।
এবার মোড়টি ঘুরে
ধীর পায়ে এগিয়ে চলো
খুজে না�" সাড়ে তিন হাত শেষ � িকানার বাড়ী।
জানালা গলিয়ে আমার দৃষ্টি চলে যায়,
খলসেখালি গ্রাম ছাড়িয়ে ইছামতির তীরে।
সেখানে তেতুল গাছের তলায়
পর্ণকুটিরের সামনে
খেজুরচটায়
ইচু ফকির আসরের নামাজ পড়ছেন।
তার একপাশে নদী
অপর পাশে দিগন্তে হারিয়ে যা�"য়া মা�
বিশাল পৃথিবীর উপর
এক বিন্দু মানুষ
উপুড় হয়ে রয়েছেন সেজদায়।
মশাড়ি উচু করে
খাট থেকে নামতে গিয়ে দেখি
অঘোর ঘুমে মগ্ন প্রিয়তমা।
তার গাদা ফুলের পাপড়ির মত
কাচা সোনার মত কপোলে
এসে পড়েছে
কয়েক গোছা কোকড়ানো চুল।
তার � োঁটের নীচের বিশেষ ভাঁজ
ঘুমন্ত চোখে�" ফুটিয়ে তুলেছে
রহস্যময় হাসি।
দ্বিধা দেখে চল্লিশ হাত টেনে ধরে
বলে, মন মাতানো ফুলের রং, গন্ধ �" মধু,
নারীর � োট �" শরীরের ভাজ,
মহাশিল্পীর এই সব প্রেম প্রেম খেলা -
তার রহস্যকি এতোদিনে�" বুঝলে না কবি!
সবইতো সৃষ্টি রক্ষা,
সে কাজ�" তো তোমার সম্পন্ন হয়ে গেছে।
তুমি কি দা�"নি পৃথিবীকে
দু দুটো মানব সন্তান উপহার?
মশাড়ি উচু করে আমি খাট থেকে নেমে পড়ি।
অস্পষ্ট আলোয় সদর দরজার চাবি খুজতে গিয়ে দেখি
ঘরের মধ্যে এসে দাড়িয়েছেন
কৃষক বিদ্রোহের কয়েক ডজন সৈনিক নিয়ে
মীর নিসার আলী তিতুমীর।
আমার বুকে থাবা দিয়ে বললেন,
�কোথায় চলেছো বেটা!�
অস্ফুট স্বরে বলি, চল্লিশ।
তখন কোথা থেকে চলে এলেন
হাজী শরীয়ত উল্লাহ।
আমার দু�কাধ শক্ত করে ধরে বললেন,
�ফকির হতে চা�"?
এই দেখো ফকির মজনু শাহ।
ফকির যুদ্ধ করে
ফকির বিদ্রোহ করে
হেরা থেকে পা�"য়া �না� এর মন্ত্র নিয়ে
ফকির গড়ে তোলে খালি হাতে আমৃত্যূ প্রতিরোধ।�
মাথা নীচু করে বলি,
�আমি তো কোন বীরপুরুষ নেতা নই
রাজপথের সাহসী সৈনিক নই
কিংবা নই কোন অনলবর্ষী কবি।
আমি নিতান্ত সাধারণ
ঘরকুনো, ভীতু এক
স্ত্রৈণ্য বাঙ্গালী মাত্র।�
ডান কাঁধে কারো হাতের স্পর্শে
পিছন ফিরে চেয়ে দেখি
শহীদ আশরাফুল ইসলাম,
আমার গ্রামের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি বললেন,
�দেখো খোকা,
কবিরা বিক্রি হয়ে গেছে,
নেতারা ব্যবসায়ী হয়ে গেছে
টগবগে তরুণেরা
এখন মশগুল ডিজুস দুনিয়ায়।
তুমি ছাড়া ঝলসে �"� ার
আর কেউ নেই বলেই তো
আমরা সব মুক্তিযোদ্ধা পূর্বপুরুষ
আজ জমা হয়েছি
তোমার বন্ধ দরজা পার হয়ে।�
আমার ড্রয়িং রুম, নীচের পার্কিং,
এমনকি সামনের রাস্তা থেকে পিলখানার গেট
লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
সব চেনা মুখ
যুগ যুগান্তরের মুক্তিযোদ্ধা ভূমিপূত্রেরা
আমাকে ঘিরে দাড়িয়ে থাকেন
আকুল দৃষ্টিতে চেয়ে।
তখন আরেক চল্লিশ আসে
তার চোখে ফররুখের স্বপ্ন
মুখে মুক্তিযোদ্ধা জলিলের দাড়ি
তার মাথায় হাজী শরীয়ত উল্লাহর সফেদ পাগড়ী
তা হাতে শাহ জালালের জায়নামাজ
তার পিছনে বখতিয়ার খিলজীর
অশ্বখুরের শব্দ।
সে বলে চল্লিশে বিদ্রোহ শুরু হয়
হেরা থেকে পা�"য়া �না� এর মন্ত্র প্রচার শুরু হয়
গাড়ী, বাড়ী, নারীর মোহ মত্ততা ঝেড়ে
পতাকা হাতে বেরিয়ে পড়ার
প্রস্তুতি শুরু হয়।
চল্লিশ ডাক দিয়ে যায়
বলে, অনেক তো ছোটা হলো
খোঁজা হলো গাড়ী, বাড়ী, সুন্দরী নারী।
এবার মোড়টি ঘুরে
ধীর পায়ে এগিয়ে চলো
খুজে না�" সাড়ে তিন হাত শেষ � িকানার বাড়ী।
জানালা গলিয়ে আমার দৃষ্টি চলে যায়,
খলসেখালি গ্রাম ছাড়িয়ে ইছামতির তীরে।
সেখানে তেতুল গাছের তলায়
পর্ণকুটিরের সামনে
খেজুরচটায়
ইচু ফকির আসরের নামাজ পড়ছেন।
তার একপাশে নদী
অপর পাশে দিগন্তে হারিয়ে যা�"য়া মা�
বিশাল পৃথিবীর উপর
এক বিন্দু মানুষ
উপুড় হয়ে রয়েছেন সেজদায়।
মশাড়ি উচু করে
খাট থেকে নামতে গিয়ে দেখি
অঘোর ঘুমে মগ্ন প্রিয়তমা।
তার গাদা ফুলের পাপড়ির মত
কাচা সোনার মত কপোলে
এসে পড়েছে
কয়েক গোছা কোকড়ানো চুল।
তার � োঁটের নীচের বিশেষ ভাঁজ
ঘুমন্ত চোখে�" ফুটিয়ে তুলেছে
রহস্যময় হাসি।
দ্বিধা দেখে চল্লিশ হাত টেনে ধরে
বলে, মন মাতানো ফুলের রং, গন্ধ �" মধু,
নারীর � োট �" শরীরের ভাজ,
মহাশিল্পীর এই সব প্রেম প্রেম খেলা -
তার রহস্যকি এতোদিনে�" বুঝলে না কবি!
সবইতো সৃষ্টি রক্ষা,
সে কাজ�" তো তোমার সম্পন্ন হয়ে গেছে।
তুমি কি দা�"নি পৃথিবীকে
দু দুটো মানব সন্তান উপহার?
মশাড়ি উচু করে আমি খাট থেকে নেমে পড়ি।
অস্পষ্ট আলোয় সদর দরজার চাবি খুজতে গিয়ে দেখি
ঘরের মধ্যে এসে দাড়িয়েছেন
কৃষক বিদ্রোহের কয়েক ডজন সৈনিক নিয়ে
মীর নিসার আলী তিতুমীর।
আমার বুকে থাবা দিয়ে বললেন,
�কোথায় চলেছো বেটা!�
অস্ফুট স্বরে বলি, চল্লিশ।
তখন কোথা থেকে চলে এলেন
হাজী শরীয়ত উল্লাহ।
আমার দু�কাধ শক্ত করে ধরে বললেন,
�ফকির হতে চা�"?
এই দেখো ফকির মজনু শাহ।
ফকির যুদ্ধ করে
ফকির বিদ্রোহ করে
হেরা থেকে পা�"য়া �না� এর মন্ত্র নিয়ে
ফকির গড়ে তোলে খালি হাতে আমৃত্যূ প্রতিরোধ।�
মাথা নীচু করে বলি,
�আমি তো কোন বীরপুরুষ নেতা নই
রাজপথের সাহসী সৈনিক নই
কিংবা নই কোন অনলবর্ষী কবি।
আমি নিতান্ত সাধারণ
ঘরকুনো, ভীতু এক
স্ত্রৈণ্য বাঙ্গালী মাত্র।�
ডান কাঁধে কারো হাতের স্পর্শে
পিছন ফিরে চেয়ে দেখি
শহীদ আশরাফুল ইসলাম,
আমার গ্রামের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা।
তিনি বললেন,
�দেখো খোকা,
কবিরা বিক্রি হয়ে গেছে,
নেতারা ব্যবসায়ী হয়ে গেছে
টগবগে তরুণেরা
এখন মশগুল ডিজুস দুনিয়ায়।
তুমি ছাড়া ঝলসে �"� ার
আর কেউ নেই বলেই তো
আমরা সব মুক্তিযোদ্ধা পূর্বপুরুষ
আজ জমা হয়েছি
তোমার বন্ধ দরজা পার হয়ে।�
আমার ড্রয়িং রুম, নীচের পার্কিং,
এমনকি সামনের রাস্তা থেকে পিলখানার গেট
লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়।
সব চেনা মুখ
যুগ যুগান্তরের মুক্তিযোদ্ধা ভূমিপূত্রেরা
আমাকে ঘিরে দাড়িয়ে থাকেন
আকুল দৃষ্টিতে চেয়ে।
তখন আরেক চল্লিশ আসে
তার চোখে ফররুখের স্বপ্ন
মুখে মুক্তিযোদ্ধা জলিলের দাড়ি
তার মাথায় হাজী শরীয়ত উল্লাহর সফেদ পাগড়ী
তা হাতে শাহ জালালের জায়নামাজ
তার পিছনে বখতিয়ার খিলজীর
অশ্বখুরের শব্দ।
সে বলে চল্লিশে বিদ্রোহ শুরু হয়
হেরা থেকে পা�"য়া �না� এর মন্ত্র প্রচার শুরু হয়
গাড়ী, বাড়ী, নারীর মোহ মত্ততা ঝেড়ে
পতাকা হাতে বেরিয়ে পড়ার
প্রস্তুতি শুরু হয়।
কন্যা তোমার কখন সময় হবে (কবিতা)
আমিনূল মোহায়মেন
কন্যা তোমার কখন সময় হবে?
বাইরে আকাশ
মেঘভারে নুয়ে আছে;
কখন আমরা ভিজবো বৃষ্টিতে?
কন্যা তোমার কখন সময় হবে?
গতকাল রাতে
ঢল নেমেছিল জ্যোস্নার;
চাদনী রাতে
কখন আমরা বসবো মুখোমুখি?
কন্যা তোমার কখন সময় হবে?
শ্রাবণ শেষে
কাশফুলে সাদা সাভার;
কখন আমরা হাটবো কাশবনে?
কন্যা তোমার কখন সময় হবে?
বাইরে আকাশ
মেঘভারে নুয়ে আছে;
কখন আমরা ভিজবো বৃষ্টিতে?
কন্যা তোমার কখন সময় হবে?
গতকাল রাতে
ঢল নেমেছিল জ্যোস্নার;
চাদনী রাতে
কখন আমরা বসবো মুখোমুখি?
কন্যা তোমার কখন সময় হবে?
শ্রাবণ শেষে
কাশফুলে সাদা সাভার;
কখন আমরা হাটবো কাশবনে?
Subscribe to:
Posts (Atom)